পরিবেশ পরিচিতি
PART-2
মান – ১
1. একটি পালকি বইতে কতজন লোক লাগত?
উঃ চারজন ।
2. কত সালে কলকাতায় রিকশা আসে?
উঃ ১৯০০ সালে।
3. পানসী কী?
উঃ এক ধরনের ছোট নৌকা হল পানসী।
4. পাল কি?
উঃ যা নৌকাকে বায়ুর শক্তিকে
কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, তাই পাল।
5. দাড় কি?
উঃ যার সাহায্যে নৌকা জল ঠেলে
ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে তাই হল দাড়।
6. সব রাস্তায় চলতে পারে এমন একটি যানের নাম করো?
উঃ সাইকেল।
7. আগেকার দিনে মানুষ যানবাহন হিসেবে কি ব্যবহার করতে?
উঃ পালকি, গরু গাড়ি, ঘোড়া গাড়ি।
8. ট্রাম কোথায় চলে?
উঃ কলকাতায় ট্রাম চলে।
9. এ দেশে কবে থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনের
চলাচল শুরু হয়?
উঃ ১৮৫৩ সাল থেকে।
10. আমাদের রাজ্যে কবে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়?
উঃ ১৮৫৩ সালের ১৬ই এপ্রিল ।
11. কোন কোন পশু পরিবহনের কাজে লাগে?
উঃ গরু, গাধা, ঘোড়া ইত্যাদি।
12. পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কত?
উঃ ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার
13. আবহাওয়া বলতে কি বোঝ?
উঃ কোন একটি স্থানের একটি
নির্দিষ্ট দিনের মেঘাছন্নতা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা ইত্যাদির সামগ্রিক
অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।
14. সূর্যের থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে কত সময় লাগে?
উঃ ৮ মিনিট।
15. সূর্যের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রের নাম কি ?
উঃ প্রক্সিমা সেন্টেরাই
16. সব শক্তির উৎস কী?
উঃ সূর্য
17. পৃথিবীর জন্ম কবে হয় ?
উঃ আজ থেকে আনুমানিক ৪৬০ কোটি
বছর আগে।
18. বৃহস্পতি গ্রহের উপর একটা ধুমকেতু এসে পড়েছিল তার
নাম কী?
উঃ লেভি ও শুমেখার ।
19. ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’--- এটি কোন কবির লেখা কবিতার লাইন?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
20. বিশ্ব বয়স্ক অবমাননা দিবস কবে পালন করা হয় ?
উঃ ১৫ জুন।
21. বয়স্ক দিবস কবে পালন করা হয়?
উঃ ১ অক্টোবর।
মান- ২
1) জলপথের কয়েকটি যানবাহনের নাম লেখ।
উঃ জলপথের কয়েকটি যানের নাম হল
– নৌকা, স্টিমার,
2) পরিবেশবান্ধব বাহন কাকে বলে? এর উদাহরণ দাও।
উঃ যে সকল বাহন পরিবেশ দূষণ করে
না তাদের পরিবেশ বান্ধব বাহন বলে। যেমন- সাইকেল।
3) যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশকে কিভাবে দূষিত করে?
উঃ যানবাহন থেকে নির্গত বিশাক্ত
ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলে মেশে বায়ুকে দূষিত করে তোলে।
4) সামাজিক পরিবেশ বলতে কি বোঝো?
ঊঃ মানুষের সৃষ্ট পরিবেশকে সামাজিক পরিবেশ বলে। যেমন-
রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি।
5) পশ্চিমবঙ্গে কবে ও কোথায় আয়লা দেখা দিয়েছিল?
উঃ ২০০৯ সালে, সুন্দরবনে।
6) সূর্যগ্রহন বলতে কী বোঝো?
উঃ সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একইসরলরেখায় চলে আসে। পৃথিবী এবং
সূর্যের মাঝে থাকে চাঁদ। এমন অবস্থায় সূর্যের ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে এবং পৃথিবী
থেকে সূর্যকে দেখা যায় না। এই ঘটনাকে বলে সূর্যগ্রহণ।
7) চন্দ্রগ্রহন বলতে কী বোঝো?
উঃ উঃ কোন কোন পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একইসরলরেখায় চলে আসে। সূর্য এবং চাঁদের মাঝে থাকে পৃথিবী। এমন অবস্থায় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে এবং পৃথিবী থেকে চাদকে দেখা যায় না। এই ঘটনাকে বলে চন্দ্রগ্রহণ।
8) ভরা কোটাল বলতে কী বোঝো?
উঃ অমাবস্যা বা পূর্ণিমা তিথিতে
জোয়ারের পরিমাণ খুব বেশি হয় একে বলে ভরা কোটাল ।
9) মরা কোটাল বলতে কী বোঝো?
উঃ সপ্তমী-অষ্টমী তিথিতে জোয়ারের পরিমাণ সবচেয়ে কম হয় একে বলে মরা কোটাল ।
10) ভাটা কাকে বলে?
উঃ নদী, সমুদ্রের জল নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য জায়গায় নেমে যায়। এক্ষেত্রে ফুলে ওঠার ঘটনাকে জোয়ার এবং জল নেমে যাওয়ার ঘটনাকে ভাটা বলে।
11) অ্যাসিড বৃষ্টি কাকে বলে?
উঃ বৃষ্টির সময় বায়ুতে থাকা সালফারের অক্সাইড, নাইট্রোজেনেরঅক্সাইডবৃষ্টির জলের সঙেঙ্গ মিশে
যে বৃষ্টি ঘটায় তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।
12) মুখ্য ও গৌণ জোয়ারের মুল কারণ কী?
উঃ মুখ্য জোয়ারের মূল কারণ হল পৃথিবীর ওপর চাঁদের আকর্ষণ। গৌণ জোয়ারের মূল কারণ হল পৃথিবীর ঘূর্ণন ।
13) সূর্যকে সকল শক্তির উৎস বলা হয় কেন?
উঃ সূর্যই হল আমাদের সব শক্তির উৎস সূর্য না থাকলে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় হবে না| গাছেরা খাদ্য তৈরি করতে পারবে না এবং গাছ জন্মাবেও না । আর গাছ না থাকলে পৃথিবীতে আমাদের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
14) যাড়াষারি বান কী?
উঃ বর্ষাকালে
ভরা কোটালের দিন ভাগীরথী-হুগলি নদীর গতিপথের
বিপরীত দিক থেকে ভীষণ গর্জন করে যে প্রবল বান
আসে, সেই বানকে যাড়ার্ষাড়ি বান
বলা হয়।
15) ভরা কোটাল ও মরা কোটাল কোন
কোন তিথিতে দেখা যায়?
উঃ অমাবস্যা-পূর্ণিমাতে জোয়ারের জল বেশি বাড়ে। একে বলে
ভরা কোটাল। সপ্তমী-অষ্টমীর
সময়ে জোয়ারের জল বেশি ওঠে না। তখনকার জোয়ারকে বলে মরা কোটাল।
16) পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কখন দেখা যায়?
উঃ কোন কোন পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য, পৃথিবী এবং চাদ একই সরলরেখায় চলে আসে সূর্য এবং চাদের মাঝে থাকে পৃথিবী। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে। চিত্রে, A ও B বিন্দুর মধ্যে থাকা জায়গাগুলির লোকেরা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখবে।
মান- ৩
1) শিশুদের অধিকার গুলি কী কী?
উঃ শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ
অধিকারগুলি হল—১)সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে
থাকা। ২) উপযুক্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্য ও পানীয় জল পাওয়া ও স্বাস্থ্য ভালো রাখা, অসুখ
হলে চিকিৎসা পাওয়া। ৩) অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষালাভ। ৪) নিজের নাম, পরিচয় জানা ও প্রকাশ করা। ৪) নিজের মত
প্রকাশ ও আলোচনার স্বাধীনতা। ৫) মারধর বা মানসিক
পীড়ন থেকে সুরক্ষা পাওয়া ।
2) পাহাড়ি অঞ্চলে বেশিরভাগই বাড়ি কাঠের তৈরি করা হয় কেন?
উঃ পাহাড়ি অঞ্চল ভুমিকম্পপ্রবন
তাই ভুমিকম্পে ঘরবাড়ি ভেঙে মানুষের আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়। তাই ওই অঞ্চলের
বাসিন্দারা কাঠের বাড়ি তৈরি করে।
3) ভূমিকম্পের কারণ ও তার ফলাফল গুলি লেখ?
উঃ ভূমিকম্পের ফলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে
সেগুলি হল—১) প্রচুর সংখ্যক মানুষ ও
পশুপাখির জীবনহানি ঘটে। ২)অসংখ্য বাড়ি, অট্টালিকা, সেতু প্রভৃতি ধূলিসাৎ হয়।বনভূমি ধবংস হয়, পাহাড়ে ধস নামে, নদীর
গতিপথ পরিবর্তিত হয়। ব্যক্তিগত সম্পদ ও সামাজিক পরিকাঠামো বিপর্যস্ত
হয়।
4) পথ নিরাপত্তার জন্য করণীয়
বিষয় কী কী?
উঃ
পথ নিরাপত্তার জন্য করণীয় বিষয়— ১) গাড়িতে বসার সিট বেল্ট ব্যবহার
করব| ২)মোটর সাইকেলে চাপলে হেলমেট
ব্যবহার করব৷ ৩) সিগন্যাল দেখে রাস্তা পার হব। ৪) জেব্রা ক্রসিং বরাবর রাস্তা পার
হব ৫) রেলওয়ে ক্রসিং পারাপারের সময় সিগন্যাল দেখে পার হব ।
5) পথ নিরাপত্তার জন্য যা
করণীয় নয় এমন বিষয়গুলি কী কী?
উঃ পথ
নিরাপত্তার জন্য যা করণীয় নয়—১) সিগন্যালে গাড়ি যাওয়ার
সবুজ আলো জ্বলে উঠলে কখনই রাস্তা পার করব না। ২) রাস্তায় অকারণে দৌড়াদৌড়ি করব
না। ৩) বড় গাড়ির দিক পরিবর্তনের সময় গাড়ির কাছাকাছি আসব না। ৪)রাস্তার ওপরে
কখনও খেলব না। ৫) বাস থেকে লাফ দিয়ে নামব না
, নামার আগে দেখে নেব পিছন থেকে কোনো
গাড়ি আসছে কি না।
6) জোয়ারভাটার মূল কারণ দুটি কী কী?
উঃ জোয়ারভাটার
মূল কারণ দুটি হল— চাদ ও সূর্যের আকর্ষণ । তবে সূর্যের তুলনায় চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছে
থাকায় চাঁদের আকর্ষণের প্রভাবই বেশি ও পৃথিবীর ঘূর্ণন।
7) সূর্যগ্রহণ
কাকে বলে? পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে কী বোঝ?
উঃ কোন কোন অমাবস্যায় সূর্য, পৃথিবী ও চাদ এক সরলরেখায় চলে আসে।সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে চাঁদ থাকে। চাঁদের ছায়া
পৃথিবীর ওপর পড়ে। একে বলে সূর্যগ্রহণ । চাঁদের প্রচ্ছায়া অঞ্চলে
অবস্থিত (BC অঞ্চল) পৃথিবীর অংশ থেকে সূর্যকে একেবারেই দেখা যায়
না। একে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। B থেকে C-এর মধ্যে থাকলে সূর্য পুরোটাই আড়ালে পড়বে।
সেই কারণে ওই দুই বিন্দুর মাঝের ব্যক্তিরা পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখবে।
8) আবহাওয়া বলতে কী বোঝ?
আবহাওয়ার পূর্বাভাস কী?
উঃ ঝড়বৃষ্টি, বাতাসের ঠান্ডা-গরম, হাওয়ার গতি এসবের অবস্থাকে
একসঙ্গে বলে আবহাওয়া। আবহাওয়া সম্পর্কে আগে
থেকে জানানোকে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। রেডিও, খবরের কাগজ, টেলিভিশন, ইনটারনেট ইত্যাদি মারফত আমরা আবহাওয়ার
পূর্বাভাস জানতে পারি।
9) গৌণ জোয়ারের ১২ ঘণ্টা ২৬
মিনিট পর মুখ্য জোয়ার হয় কেন?
উঃ (ক) পৃথিবীর যে জায়গায় গৌণ জোয়ার হয় সেই
জায়গার বিপরীত দিকে হয় মুখ্য জোয়ার। বিপরীত দিকটি চাঁদের সামনে
আসতে ১২ ঘণ্টা লাগার কথা। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে চাঁদ তার কক্ষপথ বরাবর কিছুটা
সরে যায়। ওই অতিরিক্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পৃথিবীর আরও ২৬ মিনিট লেগে যায়। তাই
গৌণ জোয়ারের ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পর মুখ্য জোয়ার হয়।
10) তোমার এলাকায় দেখা বাল্যশ্রমের এর দুটি
উদাহরন দাও।
উঃ আমাদের অঞ্চলের একটি চায়ের দোকানে ১২-১৩ বছর বয়সের একটি ছেলে চায়ের দোকানে কাপ ধোয়ার এবং লোকজনকে চা দেওয়ার কাজ করে। আমাদের পাড়ার একটি মোটর সাইকেল মেরামতের দোকানে আমাদের বয়সি একটি ছেলে মোটর সাইকেল সারানোর কাজ শেখে।
11)
সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে পার্থক্যগুলি
লেখ?
উঃ সূর্যগ্রহণ
ও চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
সূর্যগ্রহণ |
চন্দ্রগ্রহণ |
1.
সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য ও চাঁদের পৃথিবী
মাঝে থাকে চাঁদ। |
1.
চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের ও চাঁদের মাঝে
অবস্থান করে পৃথিবী । |
2.
সূর্যগ্রহণ অমাবস্যা তিথিতে হয়। |
2.
চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণিমা তিথিতে তিথি হয়। |
12)
মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ার কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর
যে দিকটি চাদের সামনে থাকে সেদিকের জল যেমন বাড়ে, পিছনের
দিকের জলও বাড়ে। ফলে সেখানেও জোয়ার হয়। চাঁদের সামনে জোয়ার বেশি জোরালো হয়।
সেটি মুখ্য জোয়ার। পিছনেরটি কম জোরালো তাই সেটি গৌণ জোয়ার। দুইয়ের
মাঝের জায়গায় হয় ভাটা।
------------------------